যুদ্ধভিত্তিক মুভির বেস্ট টপ টেন লিস্টে এই মুভিটা টপ ফাইভে আছে

যুদ্ধভিত্তিক মুভির বেস্ট টপ টেন লিস্টে এই মুভিটা টপ ফাইভে চলে এলো। ” Saving Private Ryan ” ” 71 into the Fire ” ” Hacksaw Ridge ” অথবা ” Taegukgi ” এর মতো মাস্টারপিস মুভি গুলো যাদের ভালো লেগেছে তাদের জন্য ” All Quiet on the Western Front ” মাস্টওয়াচ। যুদ্ধের দৃশ্য গুলো এতটা রিয়ালিস্টিক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে আপনার মনে হবে আপনিও যুদ্ধের একজন অংশগ্রহণকারী।

সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে মুভিটির রাইটার Erich Maria Remarque তার বাস্তব যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে একটা নোভেল লিখেছিলেন আর সেই নোভেল থেকেই মুভিটি বানানো হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা নিজ চোখে এক্সপিরিয়েন্স করতে চাইলে আপনাকে ২০২২ সালে জার্মানিজ মুভি ”

All Quiet on the Western Front ” দেখতে হবে।

যুদ্ধের দৃশ্য গুলো এতটা রিয়ালিস্টিকভাবে দৃশ্যায়ন করেছে যে কিছু কিছু যায়গায় আমার মনে হয়েছে ” Saving Private Ryan ” কেও বিট করে ফেলেছে। মুভির গল্প নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না। যারা ওয়ার বেইজড মুভির মজাটা একবার পেয়ে যায় তারা খুজে খুজে ওয়ার বেইজড মুভিই দেখে। বেশি কিছু বলতে চাই না শুধু বলবো ” All Quiet on the Western Front ” দেখুন আর ইতিহাস জানুন চোখের প্রশান্তি অনুভব করুন এবং যুদ্ধ কতটা ভয়াবহ সেটা রিয়েলাইজ করুন।

Movie: ” All Quiet on the Western Front ”
Director: Edward Berger
Writer : Erich Maria Remarque
Cast: Felix Kammerer Etc
Country: Germany
Genre: War Drama

Felix Kammerer অসাধারণ অভিনয় করেছে। মুভিটি অলরেডি ৪টি অস্কার সহ ৩৫টি এওয়ার্ড জিতেছে। ১৪৮ মিনিটের মুভিটি প্রথম দৃশ্য থেকেই আপনাকে যুদ্ধের ময়দানে ছেড়ে দিবে এবং আপনি পুরো সময়টা ঘুরে ঘুরে যুদ্ধ দেখবেন ইতিহাস জানবেন এবং সৈন্যদের ত্যাগ তিতিক্ষার চিত্র দেখবেন হয়তো কোথাও কোথাও চোখে জল এসে পড়বে হয়তো কোথাও মনে হবে আহ শুধু একটু খাবারই তো! মুভি শেষে এক রাশ মুগ্ধতা এবং তৃপ্তি নিয়ে উঠবেন।

হিন্দি ডাব রয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখে নিতে পারেন। শেষে শুধু এতটুকু বলতে চাই, ” All Quiet On the Western Front ” মিস করা মানে এক নিদারুণ নিষ্ঠুর ইতিহাস মিস করা যেটা বইয়ে পড়া আর চোখে দেখাটা যথেষ্ট আলাদা।

ব্যাক্তিগত রেটিং ৮/১০

“যুদ্ধ”– এমন একটি শব্দ যার মধ্যে সহিংসতা, সংঘাত, ক্ষয়ক্ষতি, ধ্বংস, আগ্রাসন & অগণিত মৃত্যু ইত্যাদির মতো গুরুতর বিষয় আবদ্ধ আছে। যুদ্ধ হলো মূলত এক বা একাধিক দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক & পরিবেশগত অবস্থার ফলাফল। সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে & স্বার্থহাসিল করতে যুদ্ধ করে আসছে, বিভিন্নসময়ে যার বিভীষিকাময় রূপ দেখতে পেয়েছে বিশ্ববাসী৷

প্রথমবারের মতো একাধিক দেশের মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ

মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একাধিক দেশের মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ হয়েছিলো ১৯১৪-১৯১৮ সাল পর্যন্ত যা ইতিহাসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ/Great War নামে পরিচিত। সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা এরিক মারিয়া রিমার্ক নামক একজন জার্মান সৈন্য পরবর্তীতে ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের যুদ্ধে তার যুদ্ধজীবনের অভিজ্ঞতা, যুদ্ধে জার্মান সৈন্যদের দুঃসহ স্মৃতি এবং বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার আলোকে ২০০ পেজের একটি উপন্যাস রচনা করেন যার টাইটেল ছিলো 𝗔𝗹𝗹 𝗤𝘂𝗶𝗲𝘁 𝗢𝗻 𝗧𝗵𝗲 𝗪𝗲𝘀𝘁𝗲𝗿𝗻 𝗙𝗿𝗼𝗻𝘁, যা ১৯২৯ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়৷

প্রকাশিত হওয়ার প্রথম ১৮ মাসেই বইটির মোট ২২ ট ভাষায় অনুবাদ সংস্করণ বের হয় এবং ২.৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়ে যায়৷ ঠিক পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৩০ সালে একই নামে লুইস মাইলস্টোন পরিচালিত একটি মুভি মুক্তি পায় যা ছিলো এই উপন্যাসটির এডাপশন; মুভিটি একাডেমি এওয়ার্ড অর্জনসহ প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়ে নেয় বিশ্বজুড়ে।

এরপর ১৯৭৯ সালে ডেলবার্ট ম্যান পরিচালিত স্বল্প বাজেটের একটি টিভি মুভি মুক্তি পায় যা ছিলো এই উপন্যাসেরই এডাপশন এবং মুভিটি নিয়ে কম আলোচনা হলেও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়৷ এরপরে ২০২২ সালে এসে সেই উপন্যাসের উপর তৃতীয়বার কাজ করেন ডিরেক্টর এডওয়ার্ড বার্জার এবং কিছুদিন আগে একইনামে নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে মুক্তি পায় মুভিটি যা ইতোমধ্যে ৯৫ তম একাডেমিক এওয়ার্ডসে বেস্ট ইন্টারন্যাশেনাল ফিচার ফিল্মের জন্য এনাউন্সমেন্ট পেয়েছে।

দুর্দান্ত স্ক্রিপ্ট রাইটিং, এংগেজিং স্ক্রিনপ্লে

এখন আসি মুভির কথায়৷ কি নেই মুভিটিতে, একটা যুদ্ধের মুভির পরিপূর্ণতা পেতে যা যা প্রয়োজন তার সবগুলো ইলিমেন্টস এখানে উপস্থিত। দুর্দান্ত স্ক্রিপ্ট রাইটিং, এংগেজিং স্ক্রিনপ্লে, প্রতিটি চরিত্রের মনোমুগ্ধকর অভিনয়, নান্দনিক সিনেমাটোগ্রাফি, উন্নতমানের ভিএফএক্স, টপ নচ বিজিএম, পারফেক্ট কালার গ্রেডিং, কস্টিউম ডিজাইন, সাউন্ড মিক্সিং & নিখুঁত সেট ডিজাইন, ব্রিলিয়ান্ট মেকিং & ডিরেকশন ইত্যাদি সবমিলিয়ে এক মুহূর্তের জন্যও বোর ফিল হওয়ার চান্স নেই।

মুভিটা দেখতে দেখতে আপনিও হারিয়ে যাবেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্রান্সে, জার্মান সৈন্যদের প্রতিটি চরিত্রের চোখ দিয়ে অনুভব করতে পারবেন তাদের সেই বিভীষিকাময় দুঃসহ স্মৃতি যার ট্রমা যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও তারা সহজে কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তাদের জন্য মায়া হবে আপনার, আপনার মস্তিস্ককে আচ্ছন্ন করে ফেলবে যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহ সেসব রূপ এবং উপলব্ধি করতে পারবেন সৈন্যদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো, প্রতিটা দৃশ্য এতো জীবন্ত এবং বাস্তবিক যেনো মনে হচ্ছিলো চোখের সামনে যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা দেখতে পাচ্ছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, অস্কার ডিসার্ব করে এই মুভিটা।

প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন এমন কালজয়ী সৃষ্টির

সবার জন্য মাস্টওয়াচ একটা মুভি। না দেখে থাকলে এক্ষুনি দেখে ফেলুন; প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন এমন কালজয়ী সৃষ্টির। বিগত কয়েক বছরে মুক্তি পাওয়া অনেক যুদ্ধের মুভির মধ্যে এটাই আমার দেখা শ্রেষ্ঠ যুদ্ধের মুভি, আরো বেশ কয়েকবার মুভিটা দেখবো আমি।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। কয়েকজন জার্মান দামাল ছেলে যুদ্ধে যাওয়া তথা সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। তারা সবাই বন্ধু। তারুণ্যের উদ্বেগ, যৌবনের উত্তাপ এবং দেশপ্রেমের লড়াইয়ের অংশীদার হতে তারা যুদ্ধে যায়।

যুদ্ধের ভয়ানক চেহারা, সৈন্যদলের নিদারুণ আর্তনাদ, গোলাগুলি, বিস্ফোরণ, আগুন, ক্ষতবিক্ষত লাশ এগুলো তারা কখনো দেখেনি। স্তম্ভিত হয়ে যায় তারা, একজন ফিরে যেতে চায় বাড়ি, পারেনা, অন্যান্য মৃত সৈনিকের মতো মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। শত্রুপক্ষের গুলির আঘাতে একে একে চারপাশের অনেকেই যখন বিদায় নিচ্ছে, তাদের চেতনা যেন হারিয়ে যায় কোথায়; খিদের জ্বালা আর মৃত্যুর উৎসবে তারা হতবিহবল হয়ে পড়ে।

কয়েক বছরের চলা যুদ্ধে তারা পরিস্থিতির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায়, চলতে থাকে ধ্বংসলীলা আর বেঁচে যাওয়া তাদের কয়েকজনের সংগ্রাম। আস্তে আস্তে সব এলোমেলো হতে থাকে। একে একে সবাই চলে যায়, অবশেষে বেঁচে থাকে একজন। সেও কোন এক অনভিপ্রেত জাতীয়তাবাদী চেতনার ডাকে বাধ্য হয়ে সাড়া দিতে যায়, শত্রুপক্ষের বেয়নেট এক পর্যায়ে তার হৃদয় ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলে; জীবনপ্রদীপ নিভে যায় তারও।

হলিউড মুভির জার্মান রিমেক

প্রথমে আসি মুভির প্লটের কথা নিয়ে। প্লট সাদামাটা প্লট। কোন শক্তিশালী গল্প এখানে নেই। বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কনটেন্ট অনেক তৈরী হয়েছে এবং এটা ১৯৩০ সালে একই টাইটেলে রিলিজ হওয়া হলিউড মুভির জার্মান রিমেক; অর্থাৎ, মুভির ভাষা জার্মান। মুভিতে গল্পকেন্দ্রিক তৃপ্তি কম। তবে স্ক্রিনপ্লে খুবই শক্তিশালী। ভাল লাগতেই হবে, উপভোগ না করে উপায় নেই এবং আকর্ষণ ধরে রাখার মতো স্ক্রিনপ্লে মুভিতে পাওয়া যাবে।
এবারে আসি মুভির সিনেমাটোগ্রাফির আলোচনায়।

এটাই মুভির মূল লাইফলাইন। মুভিটির সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারণ। সিনেমাটোগ্রাফি এতোটাই আকর্ষণীয় এবং মনোমুগ্ধকর যে, পুরোটা সময় হা করে চেয়ে চেয়ে মুভিটা দেখলাম। ক্যামেরার ফ্রেমিং, সিনগুলোর সিংক অত্যন্ত লোভনীয়। একটা কথা না বললেই নয়, সেটা হচ্ছে, মুভির প্লটের সাথে এতো দারুণ ও উন্নতমানের সিনেমাটোগ্রাফির মিক্সচার মুভিটাকে এদিক থেকে মাস্টারপিস লেভেলে নিয়ে গেছে।

অবশেষে বিজিএম নিয়ে কথা বলার পালা। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ নিংড়ে নেওয়ার মতো শক্তিশালী বিজিএম ব্যবহৃত হয়েছে মুভিতে। সিনেমাটোগ্রাফির সাথে অসাধারণ এক সিংক রয়েছে। উল্লেখ্য, জার্মান, ডাচ, পোলিশ এসব মুভির বিজিএম আগাগোড়াই খুব সিম্পল আর আকর্ষণীয় হয়। এই মুভিটাও তার ব্যতিক্রম নয়।

আশাছিন্নভিন্ন ও বাস্তবতারসম্মুখীন……

সিনেমা : All Quiet On The Western Front
পরিচালক : Edward Berger
রানটাইম : 2h 27m

নিজের আপনজনের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি যেটা পরে কি না গৌরবের স্বপ্ন হয়ে গিয়ে দাড়াবে , একটি আসন্ন (অসম্ভব) উত্তরাধিকার এবং গর্বের অনুভূতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয় এই সিনেমাটিতে। স্কুল থেকে সদ্য বেরিয়ে আসা যুবকরা এটাকে কিশোর স্বপ্নের পূর্ণতা হিসেবে দেখে । তাদের মধ্যে “পল বাউমার” বলে এক যুবক যে এই সিনেমার প্রধাণ চরিত্র সৎ,সাহসী, উত্তেজনা নিয়ে নিজের লক্ষ্য পুরণ করার জন্য সেও নিজের সহপাঠীদের সঙ্গে দৃঢ় সংকল্পের সাথে মিছিলে নামে ,যেখানে গর্বে তাদের বুক ফুলে ওঠে এবং এমন ব্যক্তিদের নামে যুদ্ধে লিপ্ত করবে যারা কখনও আর অস্ত্রই তুলবে না যুদ্ধ শেষ হওযার পর।

ইউনিফর্ম পরা পুরুষরা অজানার দিকে ছুটে যায়। যুদ্ধের উত্তাপে, তারা কারও ছেলে, বাবা, স্বামী বা ভাইকে নৃশংসতা দেয়। পরে, তারা শিখেছে যে তারা একই কিন্ত ভিন্ন দিকের মানুষ মাত্র। যে মুহুর্তে তারা দেখে এবং বুঝতে পারে তারা এইমাত্র কি করেছে, তখনই একটি স্লেজহ্যামারের সূক্ষ্মতার সাথে থিমটিকে চালাতে পারে।

যুদ্ধক্ষেত্রে, বেঁচে থাকার প্রবৃত্তি এবং ক্রোধ মানবতাকে একপাশে ফেলে দেয় যখন দেখে যুদ্ধ পুরোপুরিই শেষের দিকে তাদের করার মতো কিছুই নেই,অসহায়,নিঃস্ব এবং যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত জায়গায় যেভাবে মৃতদেহের সমাবেশ সেটা দেখে সবার আশা ভরসা বিশ্বাস ভেঙে চুড়মাড় হয়ে যায় এবং তারা কিসের জন্য কি কারণে লড়বে সেটা ওদেরও খেয়ালে থাকে না।

এটি মৃত্যুর একটি ধোয়া চক্র

যুদ্ধ শুধু জাহান্নাম নয়, এটি মৃত্যুর একটি ধোয়া চক্র। এডওয়ার্ড বার্গারের এরিখ মারিয়া রেমার্কের সেমিনালের অভিযোজন এবং পরে নাৎসি-নিষিদ্ধ, একই নামের 1928 সালের উপন্যাসের উদ্বোধনের মাধ্যমে এই ধারণাটি তৈরি হয়েছিল।

“All Quiet On The Western Front” সিনেমাটি নিয়ে যতটা আলোচনা করা যায় ততটাই উল্লেখযোগ্য।চলচ্চিত্রটি যুদ্ধবিরোধী শিল্পের উত্তরাধিকারের সাথে সিনেমাটিক সংলাপের একটি প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করতে চাইছে যে যুদ্ধগুলি আসলে কেমন হয় তার বাস্তবতা সম্পর্কে দৃশ্যমানতা তাদের ঘটতে বাধা দেবে।

যেমন যুদ্ধের ভয়াবহতাগুলির একটি অবিচ্ছিন্ন পরীক্ষা সহ আপনি কল্পনা করতে পারেন এমনই অন্ধকার। এটি একটি নৃশংস, ক্লান্তিকর, এবং দুষ্ট মানবতার অপরকে আঘাত করতে সক্ষম, এবং এটি হতে পারে আরও সময়োপযোগী হবে না। আলব্রেখ্ট শুচ এবং এডিন হাসানোভিকের স্ট্যান্ড-আউট পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ফেলিক্স কামারার পল বাউমারের ভূমিকায় স্তম্ভিত।

বিশদটির দিকে মনোযোগ অভূতপূর্ব, পরিচালক এডওয়ার্ড বার্গার এই ক্লাসিক গল্পটিকে একটি নতুন এবং আকর্ষণীয় উপায়ে পুনরায় বলেছেন। এডওয়ার্ড বার্গ এই সিনেমাটির মাধ্যমে এটা বোঝাতে চান যে মানবতার এক ক্ষুদ্র সুতোয় একত্রে এক বিভীষিকাময়, বেদনাদায়ক মিছিল। এটি একটি কঠিন ঘড়ি, কিন্তু বিশ্বাস করুন, প্রতিটি মুহুর্তের জন্য এটি মূল্যবান।”এছাড়াও সিনেমাটির টেকনিক্যাল দিক দিয়ে খুটিয়ে দেখতে গেলে সিনেমাটোগ্রাফি,ভিডিও এডিটিং সত্যি অসাধারণ তার সাথে মিউজিক স্কোর সত্যি দেখার মতো। সত্যি অসাধারণ একটা সিনেমা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *