এভারেস্ট জয় করাটা যেকোনো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্যই স্বপ্ন

এভারেস্টের চূড়ায় গেছেন হঠাৎ বিশাল ভয়ংকর ঝড় শুরু হলো সবাই ছিটকে একেকজন একেক দিকে চলে গেলেন। প্রচন্ড ঠান্ডায় জমে যাচ্ছেন এবং অক্সিজেন ও শেষ এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন উঠে দাড়ানোর শক্তি পাচ্ছে না ক্ষুধা আর ঠান্ডায় প্রতি সেকেন্ডে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছেন। এরকমই এক ঘটনা ঘটেছিল নিউজিল্যান্ডের এক লোকের সাথে সেই সত্য ঘটনা অবলম্বনেই বানানো হয়েছে ” Everest ” মুভিটি। শেষ পর্যন্ত কেউ কি বেচে ফিরতে পেরেছিল? নাকি এডিভেঞ্চারের নামে ৬৫ হাজার ডলার দিয়ে মৃত্যু কিনেছিল তারা? জানতে হলে দেখতে হবে ” Everest ” মুভিটি।
Movie: ” Everest ”
Director : Baltasar Kormákur
Cast: Jason Clarke Etc
Country : Iceland
Genre : Adventure Drama

এভারেস্ট জয় করাটা যেকোনো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্যই স্বপ্ন। সেরকমই একদল ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ১৯৯৬ সালে নেপালের এভারেস্টের চূড়ায় দাঁড়িয়ে চিতকার দেয়ার স্বপ্ন নিয়ে নেপাল যায়। সবাই বেশ উপভোগ করেই দিন কাটাচ্ছিল এবং ট্রেকিং করছিল। হঠাৎ তাদের ওপর নেমে আসে এক ঝড়। তারা হয়তো কল্পনাও করে নি তাদের জন্য এত বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছিল। অত:পর যা ঘটে তা দেখে আপনার অন্তরাত্মা কেপে উঠবে এবং এটা ১৯৯৬ সালের একটি দলের সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত সিনেমা।

এভারেস্ট জয় করাটা যেকোনো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্যই স্বপ্ন

মুভির গল্প সম্পর্কে আর কিছু বলতে চাই না বাকিটা দেখুন। শুধু এতটুকুই বলতে চাই, ভ্রমণ যেন কখনো আমাদের মৃত্যুর কারন না হয়। Jason Clarke অসাধারণ অভিনয় করেছে। এছাড়াও বাকিরা দারুণ অভিনয় করেছে। এবার মুভিটির একটা হাস্যকর ভুলের ব্যাপারে বলি, মুভিটিতে দেখানো হয়েছে ১৯৯৬ সালের প্লট। ১৯৯৬ সালের নেপালের রাস্তায় গান বাজছিল ” ইয়ে লারকি হায় আল্লাহ ” কিন্তু এই গানের মুভি অর্থাৎ ” কাভি খুশি কাভি গাম ” মুভিটিই মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালে। তাহলে গানটি কি টাইম ট্রাভেল করে ১৯৯৬ সালে গিয়েছিল?

১২১ মিনিটের মুভিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো তাই প্রথমে কিছুটা বোরিং লাগলেও সারভাইভ শুরু হওয়ার পর আপনি স্ক্রিন থেকে চোখ সরাতে পারবেন না। মুভিটির কোন হিন্দি,উর্দু,উগান্ডা ডাব নেই। ইংরেজি ল্যাংগুয়েজ এ রয়েছে অথবা বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে দেখতে পারেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখতে পারেন। শেষে একটা কথা বলি, এভারেস্টের চূড়ায় যাওয়া একটা দলের অসাধারণ সারভাইভের গল্প এটি। সেদিন তাদের সাথে এভারেস্টের চূড়ায় কি ভয়ানক ঘটনা ঘটেছিল সেই ইতিহাস চোখে দেখতে চাইলে মুভিটি আপনাকে দেখতে হবে।
ব্যাক্তিগত রেটিং ৮/১০ 💖

Genres: Adventure, drama, thriller
Director: Baltasar Kormákur
Cast: Jason Clarke, Josh Brolin, Jake Gyllenhaal, John Hawkes, Emily Watson, Keira Knightley
IMDb: 7.1/10
Rotten Tomatoes: 73%

মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ

মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। ৮,৮৪৮ মিটার/২৯,০২৯ ফুট উঁচু এই পর্বতশৃঙ্গটি যুগে যুগে মানুষকে অ্যাডভেঞ্চারে ডাক দিয়েছে। মানুষও তাতে সাড়া দিয়েছে। কখনো কখনো এজন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দিতে হয়েছে। আপনাদের কি সজল খালেদের কথা মনে আছে যিনি ৫ম বাংলাদেশী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন? তাহলে নিশ্চয়ই এটাও মনে আছে যে এভারেস্ট জয় করে নামার সময় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সজল খালেদের মত অনেক পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করতে যেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও মানুষ এভারেস্ট জয় করতে পিছপা হয় না। কিন্তু কেন?
এই প্রশ্নের কিছুটা হলেও জবাব মিলবে ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “Everest” মুভিটিতে। সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই মুভিটিতে পর্বত আরোহণের পেছনের গল্পটি তুলে ধরার পাশাপাশি পর্বত জয় পরবর্তী কঠিন পরিস্থিতিগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

কাহিনী_সংক্ষেপঃ রব হল (জ্যাসন ক্লার্ক) একজন গাইড। তিনি পর্বতারোহীদের নিয়ে এভারেস্ট জয়ের মিশনে যান প্রতিবছর। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তার কোম্পানি “Adventure Consultants” সফলভাবে ১৯ জনকে এভারেস্ট জয় করতে সাহায্য করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে তিনি ৮ জন ক্লাইন্ট ও ৩ জন গাইড নিয়ে এভারেস্ট জয়ের মিশনে যান। তার সাথে যুক্ত হয় স্কট ফিশারের (জ্যাক গিলেনহাল) “Mountain Madness” কোম্পানি।

আরোও দেখুন>>> 

অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে কয়েকজন মিলে এভারেস্ট জয় করতে সক্ষম হন। কয়েকজন ব্যর্থ হন। পর্বত জয়ের পর নেমে আসার সময় রব হল বাধ্য হন আরেক অভিযাত্রীকে (জন হকিস) নিয়ে পুনরায় “সামিট” করতে, যিনি কি না সবার সাথে মিলে এভারেস্ট জয় করতে পারেননি। ফলে দেরি হয়ে যায় তাদের। নামার সময় অভিযাত্রী দল মুখোমুখি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঝড়ের। সাথে যুক্ত হয় আরো প্রতিকূলতা। তারপর কি হয়েছিল? সবাই কি পেরেছিল সুস্থভাবে বেজক্যাম্পে পৌঁছাতে? উত্তর মিলবে মুভি দেখা শেষে।

মানুষের অজেয় কিছু নেই

বিশ্লেষণঃ মুভিটি শুরুর দিকে খুবই ধীর গতির ছিল। তবে ধীরে ধীরে মুভিটি আগ্রহ জন্মিয়েছে। পর্বত জয়ের জন্য কতটা অদম্য নেশা কাজ করে আর তার পেছনে কতটা স্যাক্রিফাইস করতে হয়, তাই পরিচালক মুভিটিতে তুলে ধরেছেন। এটিই মুভিটির সার্থকতা।
*অনেক হয়তো বলবেন, পরিচালক চাইলে অনেকভাবে দুর্ঘটনাগুলো এড়াতে পারতেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ভুলে গেলে চলবে না যে মুভিটি সত্য ঘটানার উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। তাই পরিচালক মূল ঘটনাগুলোতে কোন পরিবর্তন আনেননি।

*এবার আসি অভিনয়ের ব্যাপারে। একাধিক স্টার অভিনয় করলেও কারো চরিত্রেরই গভীরতা ছিল না। জ্যাসন ক্লার্ক কিছুটা ফোকাস পেলেও বাকিরা একদমই নিষ্প্রভ ছিলেন। এক্ষেত্রে পরিচালক হয়তো আরেকটু মুন্সিয়ানা দেখাতে পারতেন।

*সবশেষে একটা কৌতূহল মিটাই সবার। মুভিতে দেখানো হয়েছে, এভারেস্টে হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারছিল না। চালককে অনেক কসরত করে সেখানে পৌঁছাতে হয়েছিল। মূলত ব্যাপারটি বাতাসের ঘনত্বের উপর নির্ভরশীল। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাতাসের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে হেলিকপ্টার অত উচ্চতায় পৌঁছাতে গেলে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে মানুষের অজেয় কিছু নেই। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ফুট উচ্চতায় হেলিকপ্টার উড়তে সক্ষম হয়েছিলো, যা কি না এভারেসস্টের চেয়েও প্রায় ১১০০০ ফুট বেশি।

Fall (2022)
#No_Spoiler_Review
IMDB: 6.4
Personal: 6.0
Genre: Thriller

অত্যন্তঃ স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড একটি কাহিনীর মুভি “Fall”

অনেকদিন পর একটি পিউর সার্ভাইবাল মুভির সন্ধান পেলাম যেটার রিভিউ দিয়ে ভরে গিয়েছে প্রায় প্রতিটি মুভির গ্রুপ। সকলের এতো এতো রিভিউয়ের মাধ্যমেই “Fall” মুভিটি দেখার আগ্রহ তৈরি হয় আমার, তাই সময় করে দেখেই ফেললাম। মুভিটি দেখে মনে হয়েছে একেবারেই এন্টারটেইনমেন্ট পারপাসে থ্রিল অনুভব করার জন্যই সাধারন অডিয়েন্সদের জন্য নির্মান করা হয়েছে মুভিটি। বলা যায় এক প্রকার ‘পপকর্ন’ মুভি যেখানে থ্রিলিং অনুভূতিটা কিছুক্ষণ পর পর আপনাকে আপনার সিটে টান টান হয়ে বসার জন্য বাধ্য করবে।

মুভির প্লট দুজন বান্ধবী Becky ও Hunter-কে নিয়ে যারা একটি ২,০০০ ফিট হাইটের রেডিও টাওয়ারে আটকে পড়ে। তারা কি এখান থেকে বেঁচে আসতে পারবে শেষ পর্যন্ত, তা নিয়েই গড়ে উঠেছে “Fall” মুভিটির কাহিনী। অত্যন্তঃ স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড একটি কাহিনীর মুভি “Fall”; যেখানে প্রধান চরিত্ররা নিজেরাই নিজেদের বিপদ টেনে আনে এবং পরবর্তীতে কিভাবে তারা এই বিপদের মুখ থেকে বেঁচে আসে তাই মূল ঘটনা। তবে এর পাশাপাশি মূল চরিত্র গুলোর ব্যক্তিগত জীবনের কয়েকটি ট্র্যাজেডির দৃশ্য দেখিয়ে তাদের চরিত্র গুলোর প্রতি খানিকটা সহানুভূতি তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে।

বলা যায় কিছুটা ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ও ইনভলবমেন্ট আনার চেষ্টা করা হয়েছে এই পার্সোনাল স্টোরি গুলো দেখানোর মাধ্যমে। তবে এই বিষয়গুলো ওয়ার্ক করেনি আমার জন্য কারন কোনো ইনভলবমেন্ট তৈরি হয়নি আমার দুজনের একজনেরও প্রতি। মুভিটি আমার কাছে মোটামোটি বিলো এভারেজ লেগেছে সব কিছু কনসিডার করার পর। কিন্তু যদি শুধু এন্টারটেইনমেন্ট ও থ্রিলিং পারস্পেকটিভ থেকে জাজ করি তাহলে মুভিটি অ্যাবাভ এভারেজ ক্রাইটেরিয়ার।

মুভিটি আমার কাছে মোটামোটি বিলো এভারেজ লেগেছে

কারন হলো হাইট ফোবিয়ার কনসেপ্টটাকে খুবই চমৎকার ভাবে ব্যবহার করে মুভির দৃশ্য গুলো ক্যাপচার করা হয়েছে ম্যাক্সিমাম দৃশ্যতে যে কারনে আপনি এক মুহুর্তের জন্যও বোর হবেন না। এই মুভি গুলো দর্শকরা দেখেই থাকে শুধুমাত্র এক্সাইটমেন্ট অনুভব করার জন্য যা এই মুভিটি সাকসেসফুলি করতে পেরেছে। তাই আমি বুঝতে পেরেছি যে কেন এই মুভিটি বেশিরভাগ দর্শকরা পছন্দ করেছেন।

ক্যামেরার কাজ আসলেই খুবই চমৎকার ভাবে করা হয়েছে যে কারনে প্রতিটি মুহূর্তে আপনারও মনে হবে যে আপনিও সেই ২,০০০ ফিট উপরে একটি টাওয়ারের উপর আটকিয়ে আছেন মূল চরিত্র দুজনের সাথে এবং প্রতি মুহূর্তেই পড়ে যাবার ভয়টা ঘিরে ধরছে আপনাকে। এমন একটি অবস্থায় সার্ভাইব করার জন্য মূল চরিত্র দুজনকে বেশ কয়েকটি জটিল সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাদের সিদ্ধান্ত গুলো মোটামোটি জাস্টিফাইয়িং ছিলো সিচুয়েশন অনুযায়ী। তবে কিছু ক্ষেত্রে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো অনেকটাই ইললজিক্যাল মনে হয়েছে আমার কাছে।

রিয়ালিস্টিক সিনারিও আনার চেষ্টা করা হয়েছে সেটা বুঝা যাচ্ছিল তবে কাহিনীর কিছু জায়গা মানতে কষ্ট হতে পারে অনেকের কাছেই। তবে মূল চরিত্র দুজনের মাঝের বন্ধুত্বটা বেশ ভালো করেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনী গুলো দেখানোর কারনেই তাদের বন্ডিংটা সুন্দর করে প্রকাশ পেয়েছে। তবুও কেন জানি দুজনের একজনের প্রতিও কোনো ধরনের অ্যাটাচমেন্ট তৈরি হয়না। মনে হয় যে শুধুমাত্র হাইটের থ্রিলিং মুহূর্ত গুলো দেখার জন্যই মুভিটি দেখতে বসেছি যদিও অভিনেত্রী Grace Carolina Currey ও Virginia Gardner-এর মাঝে কেমিস্ট্রিটা ভালোই ছিলো।

সার্ভাইবাল মুভি লাভারদের জন্য বেশ ভালো একটি অপশন এই মুভিটি

শেষে কিছুটা সারপ্রাইজ ফ্যাক্টর বাড়াতে একটা টুইস্ট রাখা হয়েছে যা আমি আগে থেকেই টের পেয়েছিলাম কারন এই রকম টুইস্ট অনেক গুলো কম বেশি ভালো মানের সার্ভাইবাল মুভিতেই দেখেছি। কিছু কিছু ভয়ের দৃশ্য গুলো খুবই ক্রিয়েটিভলি দেখানো হয়েছে আবার কিছু কিছু ভয়ের দৃশ্য রিপিটেটিভ মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে বলবো যে যারা শুধুমাত্র থ্রিল অনুভব করতে কোনো মুভি দেখতে চাইছেন হয়তো কাজিনদের অথবা বন্ধুদের সাথে মজার একটা সময় কাটানোর জন্য তারা এই “Fall” মুভিটা দেখতে পারেন।

সার্ভাইবাল মুভি লাভারদের জন্য টাইম পাস করার জন্য বেশ ভালো একটি অপশন এই মুভিটি। মুভিতে বেশ ভয়াবহ ও উত্তেজনায় ভরপুর বেশ কিছু মুহূর্ত আছে এবং বেশ ফাস্ট পেসড একটি মুভি তাই বোর হতে হবে না। যাদের সিরিয়াস লেভেলের হাইট ফোবিয়া আছে তারা একটু চিন্তা ভাবনা করেই মুভিটি দেখতে বসবেন কারন ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলের কাজ খুবই রিয়ালিস্টিক একটা ভয় তৈরি করে কিছুক্ষণ পর পর।

মুভির রানটাইম মাত্র ১ ঘন্টা ৪৭ মিনিট এবং যেহেতু কাহিনীটি ফাস্ট পেস মেইনটেইন করে তাই খুব সহজেই সময় কেটে যায় মুভিটির সাথে। যাদের এই মুভিটি ভালো লেগেছে তারা চাইলে ২০১৮ সালের “Adrift” ও ২০১৭ সালের “Jungle” মুভিটি দেখতে পারেন‌। এই দুটোই আমার দেখা সার্ভাইবাল জনরা মুভি গুলোর মাঝে অন্যতম। যারা “Fall” দেখেছেন তারা অবশ্যই জানাবেন আপনাদের কেমন লাগলো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *